Header Ads Widget

শ্বাসনালীতে খাবার আটকে গেলে কী করব?এবং কী কী করনীয়?

শ্বাসনালী খাবার আটকে গেলে কী করব?এবং কী কী করনীয়?

অনেক সময় দেখা যায়,খাদ্য গ্রহণকালে অসাবধানতার কারণে খাদ্যকণা শ্বাসনালীতে উঠে যায়।অসাবধানতাবশত শ্বাসনালীতে খাদ্যকণা উঠে গেলে বা আটকে গেলে কী কী করনীয় তা নিয়েই আর্টিকেলটিতে আলোকপাত করা হয়েছে।

অনেক সময় দেখা যায়,খাদ্য গ্রহণকালে অসাবধানতার কারণে খাদ্যকণা শ্বাসনালীতে উঠে যায়।অসাবধানতাবশত শ্বাসনালীতে খাদ্যকণা উঠে গেলে বা আটকে গেলে কী কী করনীয় তা নিয়েই আর্টিকেলটিতে আলোকপাত করা হয়েছে।

Image By-health.onehowto.com

পানি অথবা যে কোনো তরলজাতীয় খাদ্য গ্রহনের সময় তা যদি ভূলবশত সরাসরি অন্ননালীতে প্রবেশ না করে শ্বাসনালীতে প্রবেশ করে সেক্ষেত্রে কিছুটা জ্বালা-পোড়া করে থাকলেও পরবর্তীতে সেরে যায়।কিন্তু শক্তজাতীয় কোন খাদ্য কণার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা তখন কিন্তু একদমই ততোটা সহজ নয়।এতে দুনিয়ার সকল অশান্তিতে ভূগতে হয়।


এই সমস্যার সমাধান বের করতে গিয়ে,১৯৭৪ সালে মার্কিন থোরাসিক সার্জন হেনরি জে হেইমলিচ শ্বাসনালীতে খাবার আটকে গেলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সম্পর্কে একটি পদ্ধতি জানিয়েছেন।যে চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যায়।সেই চিকিৎসা পদ্ধতিটির নাম হলো হেইমলিচ ম্যানিউভার।

হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতি কী?এবং কীভাবে এটি করব-

খাদ্য কণা শ্বাসনালীতে আটকে গেলে পিঠে চাপড় মারলে তেমন উপকার পাওয়া যায় না।মূলত কাজে আসে না তার জন্য হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতি ব্যবহার করে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।

হেইমলিচ ম্যানিউভার পদ্ধতি_

প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে,এইরকম সময়ে সবার আগে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভরসা দিতে হবে যাতে সে কোনো রকম ভয় পেয়ে না যায়।এরপর আক্রান্ত ব্যক্তির পিছনে সোজাভাবে দাঁড়াতে হবে।

তারপর পিছন থেকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বুক আর পেটের মাঝখানে জোরে শক্ত করে চেপে ধরে চাপটিকে উপর দিকে ধাবিত করতে হবে।প্রায় ইংরেজী ' 'অক্ষরের মত হতে হবে।যাতে করে আক্রান্ত ব্যক্তির কাশির উপক্রম হয় ফলে শ্বাসনালীতে থাকা খাদ্য কাশির সাথে বেরিয়ে আসে।

তবে এই পদ্ধতি এক কিংবা দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে না।এতে হীতে বিপরীত হতে পারে।এক কিংবা দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে তাকে কোলে নিয়ে পিঠ বরাবর চাপ দিলেই খাবারের কণাটি বের হয়ে চলে আসবে।তারপরও যদি এতে কাজ না হয় তাহলে তাকে চিত করে শুইয়ে দিয়ে দুই স্তনের মাঝে তিন আঙ্গুল দিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে আটকে থাকা খাদ্য কণাটি বের হয়ে আসবে।অবশেষে খাদ্য কণাটি গলায় এসে আটকে পরলে আঙ্গুল দিয়ে খাদ্য কণাটিকে দ্রুত বের করে ফেলতে হবে।


হেইমলিচ ম্যানিউওভার পদ্ধতি মূলত এভাবেই শ্বাসনালীতে আটকে যাওয়া খাবার বের করা হয়।কেও ইচ্ছে করে চাইবে না যে শ্বাসনালীতে খাবার আটকে যাক তাই কোনো কারনে খাবার আটকে গেলে তা বের করার জন্য হেইমলিচ ম্যানিউবার পদ্ধতি বের করা হয়।তবে পদ্ধতি সকল সমাধান না।আমাদেরও খাদ্য খাবার সময় সচেতন থাকতে হবে।


অবশেষে আমরা যা বলতে যায়,খাবার খাওয়ার সময় কিছু কাজ থেকে বিরত থাকুন তাহলে এরকম বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন।নিজে কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো---

আমরা যখন খেতে বসব তখন যা যা করণীয়ঃ

১.আপনি যে ধর্মে বিশ্বাসী সে অনুযায়ী আপনার সৃষ্টিকর্তার নামে খাবার খাওয়া শুরু করুন তাতে করে তিনি আপনার রক্ষা করবেন।

২.অমনোযোগী হওয়া যাবে না।সম্পূর্ন মনোযোগ সহকারে খাবার খেতে হবে।

৩.বাচ্চাদেরকে খাবার খাওয়ানোর সময় কার্টুন দেখতে দেখতে খাওয়াবেন না।

৪.আর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন খবার সময় অযধা কথা বলা থেকে বিরত থাকার।

৫.সর্পোপরি,খাবার খাওয়ার সময় ঘন ঘন পানি খাবেন না।খাওয়ার আগে পানি পান করে নিবেন আর খাবার শেষে পানি পান করবেন।

আরো পড়তে পারেনঃ



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Article End Ads